ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৭/০৪/২০২৪ ১০:০৪ এএম
পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ

পল্লী চিকিৎসকের হাতে খতনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেলে জীবন শংকায় কক্সবাজারের দুই শিশু। দফায়-দফায় সেলাই আর ব্যান্ডেজে ইনফেকশন হয়ে চরম সংকটে মহেশখালীর শিশু আল ফারাবী। আর খতনার পর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় পেকুয়ার শিশু আরাফাতও আছে সংকটে।

খতনা জটিলতায় হাসপাতালের বেডে জীবন শংকায় সন্তান। শিয়রে বসে মায়ের বুকফাটা কান্না। কক্সবাজারের মহেশখালীতে গত ৩০ মার্চ স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবদুল ওয়াদুদ খতনা করান ৮ বছরের আল ফারাবীকে। এরপর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় প্রথমে মহেশখালী, তারপরে চকরিয়া ও পরে আনা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে। কিন্তু দফায় দফায় সেলাই আর ব্যান্ডেজে ইনফেকশন হয়ে এখন সংকটে শিশুটি।

ছেলেটির বাবা বলেন, আমার চোখের সামনে যতবার ড্রেসিং করানো হয়েছে ততবারই ব্লাড যাচ্ছিল। আর ততবারই সেলাই করতে হচ্ছিল।মা বলেন, আমার বাচ্চা কিরকম, কিভাবে কষ্ট পেয়েছে বলতে পারব না। আমি সব দেখছি এখন আমার বাচ্চাকে বাঁচাতে হবে।

ছেলেটির মামা জানান, ডাক্তাররা আমাদের বলেছে ছেলেটা বাঁচবে কিন্তু লিঙ্গটা কেটে ফেলতে হবে। আর ও বাবা, মামা ডাকতে পারবে। ওর থেকে আর কিছু হবে না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অদক্ষ হাতে খতনা, পরবর্তীতে রক্তপাত বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে অবুঝ শিশুটির জীবন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ইনফেকশনটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ভীত। যদি এটা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যায় তাহলে হয়তবা আরও বড় অপারেশন করতে হতে পারে।

যদিও পল্লী চিকিৎসকের দাবি, সঠিকভাবেই খতনা করিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে, বাড়ির বাইরে গিয়ে আঘাত পাওয়ায় রক্তপাত শুরু হয়ে জটিলতা তৈরী হয়।

পল্লী চিকিৎসক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, খতনা ঠিক মতো হয়েছে। যখন একটু ভালো লেগেছে তখন সে সেন্টারের মধ্যে খেলা করেছে। তখন সে পড়ে গিয়েছে। তখন রক্ত বের হওয়া শুরু হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের অবশ্যই খতনা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্তসহ দাখিল করে তাহলে অবশ্যই আমরা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

খতনা জটিলতায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি কক্সবাজারের পেকুয়ার ১১ বছরের আরাফাতও। খৎনার পর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় সোমবার রাতে তাকে ভর্তি করা হয় শিশু সার্জারি বিভাগে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...